বার্ণিক প্রকাশন – পায়ে পায়ে চার
২০১৬ সালের আজকের দিনেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই প্রকাশনা সংস্থার। প্রথম বই “কথার সাঁকো”। শুরুতেই বাজিমাত! বইটির সুখ্যাতি করেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব স্বয়ং প্রচেত গুপ্ত মহাশয়। হামা দিতে দিতে তারপর কখন যে বার্ণিক উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়োতে শুরু করল তা পাঠককূল বুঝতেই পারলেন না। তারপর থেকে সাহিত্য জগতে পারিপার্শ্বিক ছোট-বড় বহু প্রকাশনা সংস্থার সাথে পাল্লা দিয়ে এবং নিজের অনন্যতা ও অভিনবত্ব বজায় রেখে ক্রমাগত দৌড়েই চলেছে। বার্ণিক-এর সফলতা আজ তার পরিচিতিই প্রমাণ করে।
আমার সাথে বার্ণিক-এর সম্পর্ক এক বছর পর থেকে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বর্ধমান লিটল ম্যাগাজিন মেলায় প্রকাশ পায় আমার প্রথম বই – “কত ভূত! কি অদ্ভুত!” । তার পরের বছর বর্ধমান লিটল ম্যাগাজিন মেলায় বার্ণিক থেকে প্রকাশ পায় আমার আরেকটা গল্পের বই – “অজানা সীমা : The X Boundary”। আমার প্রথম প্রকাশক হবার সাথে সাথে আমি বার্ণিক-এর বাকি সকল সহ-যোদ্ধাদের সঙ্গে বার্ণিক-এর এই প্রগতির শরিক হতে পেরে গর্ব বোধ করি।
বার্ণিক-এর কয়েকটি বই যা পাঠককূলে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে –
- হিম নির্বাসন – অজিতেশ নাগ (উপন্যাস)
- জারজ – তৈমুর খান (উপন্যাস)
- আমি বৃক্ষ পুরুষের প্রেমিকা – রুমকি রায় দত্ত (৩ উপন্যাসিকা)
- জ্যোৎস্নায় সারারাত খেলে হিরণ্য মাছেরা – তৈমুর খান (কবিতা)
- স্বীকারোক্তি এখনও বাকি আছে – সন্দীপ কুমার মণ্ডল (কবিতা)
- ধুলোর চাদর – মানস শেঠ (প্রবন্ধ)
- মলয় রায়চৌধুরীর বিতর্ক – সম্পাদনা: মধুসূদন রায় (প্রবন্ধ)
এছাড়াও বহু গল্প, উপন্যাস, কবিতার জনপ্রিয় বই আছে বার্ণিক-এর, এই মুহূর্তে সবকটার নাম করা আমার পক্ষে সম্ভব হল না। তাছাড়াও ইদানিং বার্ণিক বেশ কিছু গবেষণামূলক প্রবন্ধের বইয়ের উপর দুর্দান্ত সব কাজ করছে ও করেছে।
-সুমন সেন, ২৫/১১/২০২০, রিষড়া